19 Mar 2016

অনুতাপ

অনুতাপ
*******
এক শীতের সকাল, সাল ১৯৭৩, জানুয়ারী মাসের প্রথম দিক। জাগরী বাসস্ট্যান্ডে সৃজনের জন্য অপেক্ষা করছিল। প্রায় আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ও তার দেখা নেই। ৫/১০ মিনিটের বেশী অপেক্ষা করার নিয়ম নেই। তার উপর জায়গাটা নিরাপদ নয়, বৌবাজার আর কর্নওয়ালিস স্ট্রীটের ক্রসিং, লালবাজারের কাছাকাছি। এমনিতেই অনেক সাথী ধরা পড়েছে। চারিদিকে ব্যপক ধরপাকড় চলছে।
--
চিন্তায়  অতিষ্ঠ জাগরী হটাত একটা অবিমিশ্রকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে বসল। কাছেই বৈঠকখানা বাজারে এক কাঠের ফার্নিচারের দোকানের শ্রমিক সৃজন। " ও তো না আসার ছেলে নয়, তবে কি ধরা পড়ে গেছে "- আর কোন ভাবনা চিন্তা না করে সোজা বাজারের দিকে দ্রুত পা চালাল। দোকানের কাছাকাছি অস্বাভাবিক কিছু নজরে পড়ল না। তাই আর কোন দিকে না তাকিয়ে ঝাঁপ টা তুলে ধরল। ভেতরে কেউ নেই, "তবে কি সৃজন স্নান করতে গেছে।"
--
উল্টো দিকে একটা ছোট চায়ের দোকান থেকে সৃজন সবাই কে চা খাওয়াত। জাগরী পেছন ফিরে দোকানের দিকে তাকাল। একটা রোগা লম্বা মত লোক, মাথায় রুক্ষ চুল, পরনে  আধ ময়লা পাজামা আর শার্ট, উঠে এসে তার  পেছন দাঁড়িয়ে চাপা গলায় বলল, "তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে চলুন, এখানে কাল রাতে তল্লাশি হয়ে গেছে। ভাগ্য ভাল তখন সৃজন দোকানে ছিল না, তাই পালাতে পেরেছে। চিত্পুরে একটা সেল্টারে আছে, আপনাকে ওখানে নিয়ে যেতে বলেছে। মাথায় কাপড়টা তুলে দিন। মুখ নীচু করে আমার সাথে তাড়াতাড়ি চলুন। আমাকে চিনতে পারছেন তো ? আমি সৃজনের গ্রামের ছেলে, পেছনে একটা দোকানে কাজ করি। "
--
জাগরীর একেবারে অচেনা লাগলো না। মনে মনে ভাবল "হবে হয়তো, প্রায় সারা বাজারে তো সৃজনের বন্ধু ছড়িয়ে, হরদম দোকানে আসছে, গল্প করছে, চা খাচ্ছে। কেউ একই গ্রামের লোক, কেউবা কর্মস্থান সূত্রে বন্ধু। সবাই জানে সৃজন যে পার্টি করে পুলিশ জানলে ধরে নিয়ে যাবে। কিন্তু মনে মনে তার কাজ কে প্রায় সবাই সমর্থন করে, গোপনে নানাভাবে সাহায্য ও করে।"
--  
চায়ের দোকানের বাচ্চা ছেলেটা যেন একট বাঙ্ময় দৃষ্টিতে জাগরীর দিকে তাকিয়ে ছিল। তার দিকে এক বার তাকিয়ে, ছেলেটির কথামত মাথায় কাপড় দিয়ে মুখ নীচু করে তার পিছু পিছু চলতে শুরু করল। বাজারের বাইরে এসে সৃজনের বন্ধুকে একটা রিক্সা ডাকতে দেখে জাগরী ইতঃস্ততঃ করছে দেখে, সে বলল, "সারা জায়গায় খোচর ভর্তি, তাই রিকশায়  যাওয়াই ভাল। নাহলে একজন মানুষ টানা গাড়ীতে যেতে আমার ও ভাল লাগেনা।"
--
চলতে চলতে ছেলেটি বলতে থাকে,"আজান, সিরাজ, বরকত, সূর্য্য, অমল, অনীক , নজরুল সবাই ধরা পড়ে গেছে।" জাগরীর মাথা ঘুরতে থাকে। চিন্তা করার শক্তি লোপ পেয়ে যায়। "এখন বাকীদের বাঁচাতে হবে। সুভাষ কে তো গরু খোঁজা করছে। আপনার সঙ্গে তো ওর এখন বেশী যোগাযোগ। আপনার সাথে কি দেখা হবে ?" "হ্যা, হ্যা হবে", জাগরী তাড়া তাড়ি বলে ওঠে।
--
 " কিন্তু আপনার তো সেখানে যাওয়া চলবে না। সৃজন বলে দিয়েছে আমাকে যেতে। আপনাকে ওর সেল্টারে পৌঁছে দিয়ে আমি সুভাষের সাথে দেখা করে, আপনাদের কাছে নিয়ে যাবো। " "কিন্ত আমার সাথে দেখা হবার কথা বিকাল ৪টে নাগাদ", জাগরী শুষ্ক গলায় বললে।" "ঠিক আছে, আমি এখন কাজে চলে যাব। বিকালে সুভাষের সাথে দেখা করবো। কোথায় দেখা করার কথা?" "বিবেকানন্দ আর কর্নওয়ালিস স্ট্রীটের ক্রসিং এ," আনমনে উত্তর দেয় জাগরী।
--
ছেলেটি কথা বলতেই থাকে," সুনীল, ওসমান, শামিম, আকাশ ধরা পড়ে গেছে। ইব্রাহিম, ওয়াশেখ, রণদীপ দের পুলিশ তন্ন তন্ন করে খুঁজছে। ওদের সাথেও তো আপনার যোগাযোগ থাকার কথা বলছিল সৃজন। ওদের সাথে কি আপনার এর মধ্যে দেখা হবার কথা আছে, বা কোথায় আছে জানেন?" হটাত জাগরী বিরক্ত বোধ করে, মনে মনে ভাবে, " এক নাগাড়ে বকে যাচ্ছে ছেলেটা, দেখছে এত সবাই ধরা পড়াতে আমার মনটা ভেঙে যাচ্ছে, কোন বোধ বুদ্ধি নেই একেবারে।" কেঠো গলায় বলে বসে, "না ওদের কারও সাথে আমার দেখা হবে না, আর কোন যোগাযোগ ও নেই।" "আপনি কিছু মনে করবেন না, আসলে আমি বাকীদের ও খবর দিয়ে দিতাম। আপনার তো এখন বাইরে ঘোরা ঠিক হবে না।"
--
জাগরী একটু লজ্জা পেল, তবু এখন আর বেশী কথা বলতে ভাল লাগছিল না, শুধু বলল, "না, ঠিক আছে। " হটাত ছেলেটা রিকশা থেকে ঝুঁকে পড়ে  চেঁচাতে শুরু করে দিল, "এই  যে এইদিকে, শুনতে পাচ্ছেন, এই দিকে আসুন, এইখানে আমরা রিকশায় আছি।" জাগরী ও গলা বাড়িয়ে দেখতে গেল," কাদের ডাকছে ছেলেটা, তাদের পার্টির কাউকে নাকি, এত জোরেই বা চেঁচাচ্ছে  কেন, পুলিশের খোচররা  না সজাগ হয়ে যায়।"
--
তখন সে খেয়াল করল রিকশাটা বৌবাজার কর্নওয়ালিস স্ট্রীটের চার মাথার মোড়ে পৌছেছে। ছেলেটা দুই হাতে রিকশার দুই কাঠ টা এমন ভাবে চেপে ধরে আছে যে তার নড়াচড়া  করাই মুশকিল। মেয়েদের স্বাভাবিক শালীনতাবোধে একটু অস্বস্তি বোধ করতে থাকে, "সৃজনের এই বন্ধুটার বোধ শোধ বড়ই কম", মনে মনে ভাবে। ছেলেটা হাত দুটো শক্ত রেখে শরীরের অধ্বেক টা রিকশার বাইরে বার করে চেঁচিয়ে যাচ্ছে।
--
দেখতে দেখতে গোটা পঞ্চাশ লোক পিল পিল করে তাদের রিকশা টাকে ঘিরে ফেলল। কয়েক জোড়া হাত এগিয়ে এল। জাগরী কে টেনে হিঁচড়ে, মারতে মারতে একটা পুলিশের গাড়ীতে তুলল। বুঝতে দেরী হলনা, তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। সে স্লোগান দিতে শুরু করল। কটা হাত ঠাস ঠাস করে গালে, মুখে পড়তে থাকে। মারের চোটে মুখ নাক ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। শুরু হলো জামা কাপড় ধরে টানাটানি। জাগরী অবাক হয়ে দেখে সেই নিষ্ঠুর, নোংরা হাতগুলির মধ্যে সৃজনের বন্ধুর হাতটাও রয়েছে।
--
মারতে মারতে হিঁচড়াতে হিঁচড়াতে লালবাজারের ডিডি অফিসে নিয়ে যাওয়া হলো। অবাক চোখে মানুষরুপী কিছু পশুর দেখা মিলল। টেবিলে উপুর করে ফেলে দমাদম লাঠির বাড়ী। দাঁড় করিয়ে হাতে, পায়ের গাঁটে গাঁটে লাঠির বাড়ী পড়তে থাকে। মাটিতে ফেলে লাথি ঘুষি মারার পর, চুল ধরে টেনে বসিয়ে দিল। একটি জল্লাদের মত লোক চুরুট জ্বালিয়ে জলন্ত কাঠিটা তার মাথায় ফেলে দিল। চুলগুলি ফরফর করে জ্বলতে থাকে। ১৭/১৮ বয়সের মেয়েটি পাষন্ডদের অমানুষিক কার্য্যকলাপ বিস্ফারিত দুইচোখ মেলে দেখতে থাকে। শেষে সৃজনের বন্ধু থাবা মেরে মেরে আগুন নিভিয়ে দিল।
--
কিন্তু জাগরীর বিস্ময়ের পালা তখনও শেষ হয়নি। হতবাক হয়ে শুনলো সৃজনের বন্ধুটি বলছে,"কপি দা, সুভাষের সাথে ওর বিকেল ৪টের সময় বিবেকানন্দ আর কর্নওয়ালিস স্ট্রীট জংশনে দেখা করার কথা।" বিহ্বল জাগরী অনুভব করে কি সাঙ্ঘাতিক ভুলই না সে করেছে। পার্টির কত বড় ক্ষতি যে সে করে বসেছে। সৃজনের বন্ধু সেজে খোচর টা তাকে বোকা বানিয়েছে।
 --
দুরু দুরু বক্ষে সে সমস্ত ব্যাপার টা নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। চায়ের দোকানের বাচ্চা ছেলেটা তাকে আসলে সতর্ক করতে চেয়েছিল। শয়তানটা  তাই তাকে কথা বলার সুযোগ দেয়নি।  ভাগ্যিস বাকীদের সাথে দেখা হবার কথা আর সময় ওকে বলে বসেনি। কিন্তু সুভাষ যে  ধরা পড়ে যাবে। হটাত তার মনে পড়ল আরে দেখা করার কথা তো ৫টা। ক্ষীন আশা হলো যদি সুভাষ না ধরা পড়ে!
---
ইতিমধ্যে চার মহিলা এসে তার সারা দেহ  তন্ন তন্ন করে সার্চ করতে শুরু করলো। সেই সঙ্গে অজস্র প্রশ্ন," নাম কি? কোথায় থাকো ? বাড়ী কোথায় ? ইত্যাদি।" জাগরী গুম মেরে থাকে। "কথা না বললে আরো বেশী মার খাবে, তা জানো!" সে মনে মনে ভাবে," সুভাষের সবটা তো বলেই ফেলেছে!। অজান্তে যা ভুল হয়ে গেছে তাতেই যথেষ্ট ক্ষতি হয়ে গেছে। ভাগ্যিস সময় মত চুপ করে গেছিল। নাহলে আরো কত ক্ষতি হয়ে যেত। আর কিছু বলা চলবে না। এখন দেখা যাক সুভাষের কথা টা খেয়াল রেখেছে কিনা। ইস যদি খেয়াল না করে থাকে, তাহলে কি ভালো ই যে হয়, অন্তত সময় টা যদি গন্ডগোল হয়ে যায়!"
--
তখনই কানে এলো, কপি নিয়োগী সুভাষ কে ধরার প্ল্যান কষছে, " শোন সবাই, এদিকে বৌবাজারের মোড় থেকে শ্যামবাজারের মোড় আর ওদিকে মানিকতলা থেকে চিত্পুর মোড়ের প্রতিটা বাস স্টপ আর চায়ের দোকান প্লেইন ক্লোদ্স পুলিশ মজুত থাকবে, বেলা ২টে থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত। তাছাড়া উত্তর কলকাতার ওই অঞ্চল এখন থেকেই পুরো ঘিরে ফেলো। রাত ১০টা পর্যন্ত ওই এলাকায় গোপনে রেড এলার্ট জারী রাখো। আর ফিরে এসে এই শালী কে আমি দেখছি। সুভাষকে না যদি পাই ওকে ছিবড়ে করে পুলিশ ব্যারাকে ছেড়ে দেব।" জাগরী বুঝলো সব আশা শেষ।
--
সন্ধ্যে ৬টার সময় পুলিশ বাহিনী বীর দর্পে ফিরে এসে ঘোষণা করলো, "কপি দা একটার জায়গায় আজ দুটো মাছ ধরেছি। ব্যাটা ভাইয়ের সঙ্গে এসেছিলো মেয়েটার সাথে দেখা করতে।" জাগরী জলভরা চোখে তাকিয়ে দেখে, রক্তাক্ত সুভাষ আর বুবুদাকে টানতে টানতে নিয়ে এলো।  অনুতাপে পোড়া কালো মুখ সে দুহাতে ঢাকলো।   
_________________________________________________________________________________________














 







           










     













12 Mar 2016

একুশে

একুশে
--------

সেই ছোটবেলা থেকে বড়দের মুখে একুশে ফেব্রুয়ারীর কথা শুনেছি। তখন  তার তাত্পর্য্য বোঝার বয়স ছিলনা। একটু বড় হওয়ার সাথে সাথে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙা একুশে ফেব্রুয়ারী ' গানটা শুনতে খুব ভাল লাগতো। আরও অনেকটা বড় হবার পর  মহান দিনটি সম্পর্কে আস্তে আস্তে একটা ধ্যান ধারণা তেরী হল। কিন্তু এর প্রভাব ও গভীরতা জন জীবনে যে কতটা সুদূর প্রসারী সেটা ফেসবুকে ঢোকার পর হৃদয় দিয়ে অনুভব করলাম। অনুভব করলাম মাতৃভাষার প্রতি কতটা ভালবাসা একটা জাতির মধ্যে থাকতে পারে।
--
বাংলাদেশের মত পশ্চিম বাংলায় মাতৃভাষা ও বাংলা। অথচ এখানে মাতৃভাষার প্রতি সেই গভীর ভালবাসা বা গর্ববোধ কোথায়! বরং এমন কিছু লোক আছে যারা ইংরাজী ভাষাটা না জানলে কিছুটা হীন চোখে দেখে। কিছু লোক আবার বাংলা ভাষা না জানাটা বেশ কৃতিত্বের বিষয় ভাবে।
--
অবশ্য বিপরীত চিন্তার মানুষের সংখ্যা এখনও বেশী বলেই আজও বাংলায় সাহিত্যে অনেক উঁচুমানের কবি সাহিত্যিক জন্ম নিয়ে চলেছেন। এখনও বাংলা সাহিত্যে ভাল ভাল বই পত্রিকা প্রকাশ হয়, সাহিত্য সভা হয়। 
--
কিন্তু সেই প্রচেষ্টা মূলত বুদ্ধিজীবি মহলে আটকে থাকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যপক হারে বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চার প্রচেষ্টার অভাব চোখে পড়ে। ফেসবুকে আমার কাছে দশটা বন্ধুত্বের আহ্বান এলে, তার পাঁচটা বাংলাদেশের আর পাঁচটা পশ্চিম বাংলার হল হয়ত।
--
আমি অবাক হয়ে দেখি যে বাংলা দেশের পাঁচটি বন্ধুর মধ্যে চারজনই  তাঁদের ফেসবুকে যে যেরকম ভাবে পারেন সাহিত্য চর্চার চেষ্টা করছেন। আর সে দেশের বড় বড় সাহিত্যিক রা নানা গঠনমূলক সমালোচনা করে তাঁদের সমৃদ্ধ করে তুলছেন। নিজেদের লেখা প্রকাশ ছাড়াও সাহিত্যের নানা তাত্বিক আলোচনার মাধ্যমে অপেক্ষা কৃত দুর্বলদের সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টায় সচেষ্ট। এর মূলে আছে মহান 'একুশে ফেব্রুয়ারী। '
--
পশ্চিম বাংলায় পাঁচটা বন্ধুত্বের অনুরোধের মধ্যে একজন হয়তো ফেসবুকে সাহিত্য চর্চা করছেন।  আমার মনে হয় মাতৃভাষার অধিকার আমাদের লড়াই করে পেতে হয়নি বলেই কি ব্যপক শিক্ষিত মানুষের মধ্যে তার প্রতি সেই ভালবাসার অভাব !
--
বাংলা দেশের মানুষের রক্তের মূল্যে মাতৃভাষার অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়েছে। তাই হয়্ত তাঁরা এর মূল্য হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পেরেছেন। মাতৃ ভাষার প্রতি তাঁদের টান অন্তরের গভীরে, সেটা তাঁদের অতীব গর্বের ধন। এমন কি বাংলাদেশের যে মানুষেরা বিদেশে থাকেন, তাঁরাও এই একই অনুভূতির অংশীদার।
--
এটা একান্ত ভাবেই আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি। ছোটবেলা থেকে বাবা, মা, আত্মীয় স্বজনের প্রভাবে বই পড়়ার রেওয়াজ  আমাদের বাড়ীতে ছিল। কিছুটা লেখালেখির প্রভাব একেবারে ছিল না তা নয়। পরাধীন ভারতবর্ষে দেশবাসীদের লড়াই আর আত্মত্যাগের গল্প ও বড়দের কাছে শুনেছি, দেশকে ভালবাসতে শিখেছি। 
--
কিন্তু সাধারণ শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে এই  ভাষাচর্চার প্রতি আকুলতার ফারাক টা আমি সত্যি কথা বলতে ফেসবুকে এসে অনুভব করেছি। তাই পরিশষে আবারও বলি এ অনুভূতি আমার একান্ত ভাবেই ব্যক্তিগত। 
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------