25 Apr 2018

কিছু ভাবনা

কিছু ভাবনা
*********
শৈশব, কৈশোর আর যৌবন - তিনটি অধ্যায় মানুষের জীবনের স্বর্ণ যুগ। শৈশব হল সবচেয়ে নির্মল, নিষ্পাপ ও সহজ সরল। কৈশোর চঞ্চল, ডানপিটে,কল্পনা প্রবন, অচেনা অজানার প্রতি আকর্ষণ প্রিয় আর আদর্শবাদী। যৌবন আসে উচ্ছলতা, সাহসিকতা, পরার্থপরতা  উদ্দীনতার পিঠে সওয়ার হয়ে। এই স্বর্ণময় সময় মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত পরিবেশ ও দৃষ্টান্ত  মানুষের জীবনে গভীর ছাপ ফেলে যায়। ব্যক্তি এই পর্যায়ের মধ্যে ই  মানুষ অথবা অমানুষ হিসাবে গড়ে ওঠে। বর্তমান সময়ে শৈশব আর কৈশোর বড় বিপদজনক পরিবেশে বেড়ে উঠছে, তার ই ছাপ পড়ছে সমাজের যুব সম্প্রদায়ের উপর.
--
আমাণেদ্ৰ শৈশব কেটেছে খুব সুন্দরভাবে৷ গ্রামাঞ্চলে গাছে ওঠা, পুকুরে ঝাপঁনে, মাঠে ঘাটে দৌড়ঝাঁপ, মাছধরা, ফল পাকুড় চুরির, সাথে  স৷থে মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পডা,অসহায মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া, গ্রামের মেয়েদের  সুরক্ষার স্তম্ভ হিসাবে দাঁড়ান, এসব ম্বাভাৱিক ছিল, যদিও মুষ্টিমেয় ব্যতিক্রম সব সময় সবখানে থাকে  
--
শহর জীবনেও এই  একই ঢিত্র ৷ আমাদের ছোটবেলায় পাড়ার  দাদুভাইয়ের লেপের মধ্যে,খাটের তলা ছিল লুকানোর 
উত্কৃষ্টি জ়াযগা ৷ দোলের দিন পাড়ার জেঠা, কাকা বা দাদাদের রঙ দিযে পালানো ছিল দারুন মজার ৷ ধরা পডলে মধ্যে  দুই /এবন্টা বর্কুনি বা কানমলাও জুটতো ৷ আবার বেলা হলে বাচ্চাদের লাইন করে দাঁড় করিয়ে আবির দিয়ে আশীর্বাদ করে, হাতে দুটো চারটে  ত্তেলেভজো আর মিষ্টি দেওয়া টা রেওয়াজ ছিল।আমরাও  তাঁদের আবির দিযে প্রণাম করে, মহানন্দে খাবারগুলি খেতাম ৷ বথ., পূজা, র্দীপাবলি সব উংসব ই এভাবে সামাজিক রূপ পেত৷ এই সামাজিক অবস্থায় একটা সামাজিক অভিভাবকত্ব স্বাভাবিক ভাবে ই বজায় থাকত। আমরা দুস্টুমি করার সময পাড়ার  কাকা কাকিমা, মেসোমশাই মাসিমারা দেখে ফেললে একান্ত আপনজনদের শাসন করতেন। আর আমবাদের পক্ষে ও সেটা উপেক্ষা করার  সাহস হত না, কারণ জানতাম আমাদের বারা মা তাকে সর্বান্তঃকরণে মেনে নেবেন। শীতকালে পাড়ার জেঠা কাকারা আমাদের নিয়ে পিকনিক, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর নিয়ে যেতেন। বাবা মা নিশ্চিন্ত মনে সায় দিতেন  
 --
কিন্তু আজকের সামাজিক অবস্থার মধ্যে এই সামাজিক মনোভাব এবং পরিবেশ অনুপস্থিত। শৈশব আর কৈশোর বড় বিপন্ন। তারই প্রভাবে যৌবন চরম বিপদের মুখোমুখি। এসবের ফসল হিসাবে মানুষের সামাজিক জীবন বিদ্ধস্ত। সাত মাসের শিশু থেকে সত্তর বছর বয়সী নারীরা ধর্ষণের নামে সামাজিক রোগের শিকার হচ্ছে। প্রতিদিন প্রতিদিন সাধারণ মানুষ প্রতিহিংসার বলি হচ্ছে। এমনকি অল্পবয়সী বাচ্চা ছেলেরাও এর শিকার। ধর্ষণের সাথে নৃশংস ভাবে হত্যাও নিত্যনৈমিত্তিক  ঘটনা হয়ে উঠেছে।
--
ধর্ষণের শাস্তি স্বরূপ অনেকে ক্ষেত্রে ধর্ষকের লিঙ্গ ছেদ করে 'হিজড়া' বানিয়ে দেবার  দাবি করা হচ্ছে। প্রথম স্থানে, 'হিজরা' শব্দটি অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং অমানবিক। সুপ্রিম কোর্ট এই মানুষদের হিসাবে তৃতীয় লিঙ্গ হিসাবে চিহ্নিত করেছে এবং তাঁরা কিন্নর সমাজ ভুক্ত হয়েছেন।  তাঁরা আমাদের মতোই সাধারণ আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মানুষ এবং তাঁদের জন্য সব সামাজিক এবং সাংবিধানিক সুবিধা আওতায় আনা হয়েছে। তাঁদেরদের পুনর্বাসনের জোর দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত ঘৃণ্য ধর্ষকদের সাথে  শারীরিক ব্যতিক্রমী মানুষদের ( ট্রান্সজেন্ডার / তৃতীয় লিঙ্গ দের ) সাথে তুলনা করাটা একেবারেই সমর্থন যোগ্যও নয়। 



-----------------------------------------------------------------------------------------
Wherever Life has not died out, It staggers to its feet again

On Tue, Apr 24, 2018 at 9:12 PM, Rita Banerjee <r.ritabanerjee.b@gmail.com> wrote:
/home/rita/Screenshot from 2018-04-24 20-57-50.png

14 Apr 2018

আসিফাদের জন্য

আসিফাদের জন্য
************
আকাশের মুখ আজ বড়ই কঠোর
চাঁদ, তারারা লজ্জায় মুখ লুকিয়েছে
কালো ঘন মেঘের আস্তরণে !
গাছেদের পাতায় পাতায় হাহাকার,
বাতাসে প্রতিবাদের আলোড়ন !
নদীরা ছুটে চলেছে সাগর অভিমুখ
এক কঠিন কঠোর বার্তা নিয়ে,
অশান্ত ঢেউরা ফুঁসে উঠছে রাগে !
 --
বসুন্ধরা আজ বিচার চাইছে,
তাঁর হাজার হাজার আসিফার জন্য,
তাঁর হাজারও ফুলের কলির জন্য,  
নতুন বছরে সূর্য কি মাথা তুলতে পারবে !
আসিফরা আজ দুহাত পেতেছে বিচারের আশায়,
একটা, অন্তত একটা মানব বন্ধন হোক দেশজুড়ে
কৃমিকীট রা বুঝুক শুধু ধর্ষক নয়
 মানুষ ও আছে এ সমাজে !
------------------------------